ভাদ্র-আশ্বিন এ দুইমাসইতো শরৎকাল। ভেজা তুলোর মতো মেঘ জমেছে আকাশে। কাশবনে সাদা ফুল ফুটেছে। তবে এবার কাশবনে বৃষ্টি নেমেছে অঝোর ধারায়। এবার তাই বর্ষার কবিদের কলমের টানে এক এক করে ঝরে পড়ছে বৃষ্টির শব্দ, বর্ষার কাব্য, না ফুরিয়ে যাওয়া ঘন বর্ষণের সঙ্গীতে। শরতের বৃষ্টি এবার কাশফুল রাঙিয়ে জলরঙে রাঙিয়ে তুলছে গোটা জনপদ, শিল্পীর তুলিতে। এই ভিন্ন একটি শরতে এবার আকাশ আর মাটিতে বেজে চলেছে বর্ষামঙ্গল। কখনও বা কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টি নেমে আসছে, মেঘে ভর করে, শরতের আকাশ থেকে। এবারকার শরৎকাল বর্ষণে ধ্বনিত। জলজ সঙ্গীতে মনোহর। এবারের শরৎ বয়ে এনেছে শারদীয় বর্ষামঙ্গল।
ফেলে আসা আশ্বিনের এলোমেলো বর্ষা নিয়ে তাই দু’কলম কাব্যি-
আশ্বিনেতে কোন ক্ষেতে ধান ওঠে রে
বগল বাজাই আর বৃষ্টি দেখি রে
হাসগুলো এপার অপার দৌরে বেড়ায় রে
বগল বাজাই আর বৃষ্টি দেখি রে।
কথাকার মহাজন হিসাব কষে রে
বগল বাজাই আর বৃষ্টি দেখি রে
নৌকার মাঝি বলে বদর বদর রে
বগল বাজাই আর বৃষ্টি দেখি রে।
ধান ভানে, চাল চালে কোন বাড়ি রে
বগল বাজাই আর বৃষ্টি দেখি রে
আসছে পৌষে গরম গরম পিঠা খাব রে
বগল বাজাই আর বৃষ্টি দেখি রে।
গুণীজন দেয় মন আপন মতে রে
বগল বাজাই আর বৃষ্টি দেখি রে
আবারওতো ফাগুন আসে ধানক্ষেতে রে
বগল বাজাই আর বৃষ্টি দেখি রে।