কিভাবে ঘুমানো উচিত সে প্রশ্নের উত্তর দিতে যেয়ে অনেকেই বলেন, রাজনীতিতে যে আদর্শেরই বিশ্বাসী হোন না কেন, ঘুমান বামপন্থি হয়ে মানে বাম দিকে পাশ ফিরে। রাশিচক্র নিয়ে ঝামেলাটা সেরকমই! এ হলো ‘ধর্মেও আছি এবং সাথে জিরাফেও আছি’ টাইপের এক অনন্য বিদ্যা। যার বয়স প্রায় মানুষ্য সভ্যতার সমান। দীর্ঘ সময় ধরেই জ্যোতিষশাস্ত্র একধরণের জনপ্রিয়তা পেয়ে এসেছে। তাই বিফলে মুল্য ফেরত টাইপের লিফলেট না দিয়ে বরং তালাশ করা যেতে পারে রাশি কীভাবে মানুষের প্রেমকে চালিত করে!
১. বৃশ্চিক
বৃশ্চিক রাশির জাতকেরা একইসাথে কমনীয় ও জটিল চরিত্রের অধিকারী। আপনি যদি বৃশ্চিক রাশির কারো হৃদয় জয় করতে পারেন, তাহলে তার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আপনার জন্য সারাজীবন অটুট থাকবে। সকল রাশির মধ্যে তারাই সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং চমৎকার প্রেমিক। তাদের চরিত্রে নানান জটিলতা থাকলেও, আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে, বাইরের আবরণটির ভেতরেই আছে একটি নরম মনের মানুষ। আপনি বর্তমানে কোন বৃশ্চিকের সাথে প্রেম করছেন এমন হলে অবশ্যই তাদের নিজের মতো চিন্তা-ভাবনা করার সময় দিন।
২. মিথুন
নিখাদ ভদ্রলোক বলতে যা বোঝায়, মিথুন রাশির জাতকেরা ঠিক তাই। তারা প্রতিটি কাজই ভদ্রতা ও শ্রদ্ধার সাথে করে। তারা অন্যের কথা মন দিয়ে শুনে এবং যেকোন পরিস্থিতি শুধুমাত্র নিজের চোখ থেকে বিচার করে না, বিপরীত দিক থেকে পরিস্থিতিটা কেমন সেটাও ভেবে দেখার চেষ্টা করে। তারা কখনো আপনাকে নিরাশ করবে না এবং আপনাকে আরো ভালো করার জন্য ক্রমাগত অনুপ্রাণিত করবে।
৩. তুলা
সকল রাশির মধ্যে তুলা রাশি সবচেয়ে শান্তিপ্রিয়। কোন একটা সম্পর্কে, তুলা রাশির জাতকেরা সবসময় ঝগড়া-কলহ, কথা কাটাকাটি এধরণের বিষয় এড়ানোর চেষ্টা করে। চারিত্রিক দিক দিয়ে বিচার করলে এরা খুবই মজাদার, প্রাণবন্ত। সহজেই হয়ে উঠতে পারে যেকোন আড্ডা-জমায়েতের মধ্যমণি। এরা নিজের কাছের মানুষের যত্ন করে। আপনি তার জন্য কি করছেন সেদিকে সে খুব একটা মনোযোগী থাকে না, বরং আপনাকে কিভাবে খুশি রাখা যায়, তা নিয়ে ব্যস্ত থাকাতেই তার সব মনোযোগ।
৪. মেষ
মেষ রাশির জাতকেরা সাধারণত যেকোন সম্পর্কে কর্তৃত্ব ফলাতে পছন্দ করে। সাধারণ বাঙালি আটপৌরে নারীর তুলনায় জীবনকে যুদ্ধ হিসেবে বেছে নিয়েছে এমন শক্ত চরিত্রের নারীই এদের বেশি আকর্ষণ করে। শুরুতে দাম্ভিক ও অহংকারী মনে হলেও, একবার বাইরের দেয়ালটা ভেঙে দিতে পারলেই আপনি তার চরিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত দিকগুলো দেখতে পাবেন। আর একবার তার হৃদয় জয় করে নিতে পারলে সে আপনার সবকিছু শুনবে ও মানবে।
৫. কর্কট
এই রাশির জাতকেরা নির্মল মনের অধিকারী ও জটিলতা বিহীন। তারা সবসময় মন যা চায় তাই করে, যা তাদের নিয়ে যায় ভুল নারীদের কাছে। কিন্তু যেই একবার সে তার মনের মানুষকে খুঁজে পায়, নিঃশর্তে সে তাকে ভালোবেসে যায়। তারা ভালোবাসার মানুষকে প্রচুর উপহার দিতে পছন্দ করে।
৬. সিংহ
সিংহ জাতকেরা সত্যি অর্থেই প্রেমিক। সিনেমা-বই এ আপনি যে ধরণের প্রেম দেখে অভ্যস্ত, এই রাশির জাতকেরা তার ভালোবাসার মানুষের জন্য সেই সব করতেই রাজি। তারা সবসময়ই যতটুক পায়, তারচেয়ে বেশি দিতে চায়। ভালোবাসার মানুষকে সুখী রাখতেই তারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। আপনি একজন সিংহ জাতককে যেকোন মুহূর্তে বিশ্বাস করতে পারেন।
৭. কুম্ভ
এই রাশির জাতকেরা সবচেয়ে অদ্ভুত ও হাস্যকর। তারা সবসময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে এবং নিজের একটা আলাদা জগতে বাস করে। আপনি যদি কুম্ভ রাশির কারো প্রেমে পড়ে থাকেন, তাহলে আপনাকেই তার মধ্যে ভালোবাসা জাগাতে হবে। সম্পর্কেও আপনাকেই বেশিরভাগ সিদ্ধান্তের দায়িত্ব নিতে হবে, কেননা এদের আত্নবিশ্বাস দুর্বল। কিন্তু আপনি যাই বলবেন, সে অবশ্যই আপনাকে শুনবে।
৮. ধনু
এই রাশির জাতকেরা প্রেম নিয়ে নানান সমস্যায় পরে কারণ তারা নিজেরাই নিজেদের সবচেয়ে বড় শত্রু। এবং তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে খুব দুর্বল। কোন নারীকে পছন্দ হলে তারা অতিমাত্রায় ভাবতে থাকে তা নিয়ে। তার মনোযোগ আকর্ষণের নানান উপায় ভাবতে থাকে, কিন্তু আত্নবিশ্বাসের অভাবে কখনো বলে উঠতে পারে না। তবে একবার সম্পর্কে জড়িয়ে পরলে কুম্ভ রাশির জাতকেরা খুবই বিশ্বস্ত এবং ভালো।
৯. মকর
জীবনের সকল কিছু নিয়েই মকর রাশির জাতকদের চাহিদা অনেক উঁচু। সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তাই। তারা যাকে ভালোবাসে তার ক্যারিয়ার বা ব্যক্তিগত জীবনের নানা ক্ষেত্রে প্রভাব রাখতে চায়। তারা সংসারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের মানুষটি হতে চায়। তবে অন্যের ক্ষতি করা কখনোই এদের উদ্দেশ্য না, তারা শুধুমাত্র কর্তৃত্ব ফলানোর মাঝেই আনন্দ খুঁজে পায়।
১০. কন্যা
এরা সকল রাশির মধ্যে সবচেয়ে ঈর্ষান্বিত ও বদমেজাজী স্বভাবের। রেগে গেলে তারা অতীতের নানা ঘটনা টেনে আনে তর্ক জেতার জন্য। যদিও তারা প্রতিবার ক্ষমা চাইতে আসে, কিন্তু তার কটুকথার কারণে তাকে ক্ষমা করা কিংবা ভালোবাসা বেশ কঠিন।
১১. বৃষ
এ রাশির জাতকেরা নিজের ক্যারিয়ার ও পরিবার নিয়ে অনেক সচেতন। যেকোন সম্পর্কে জড়াতেই তারা একটু পিছিয়ে থাকে। যেকোন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিতেই তারা ভয় পায়। নিজের সাফল্য, পরিবারের উন্নতিই এদের প্রথম লক্ষ্য। তবে এ রাশির জাতকেরা পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে কোন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেমন হতে চায় না, তেমনি একবার কাউকে কাছের করে নিলে তাকে সহজে ছেড়েও দেয় না।
১২. মীন
মীন জাতকেরা সকল রাশির মধ্যে সবচেয়ে সংবেদনশীল। সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্রের মানুষের প্রতি তারা প্রবল আকর্ষণ বোধ করে। যা সম্পর্ক গুলো কে আরো জটিল করে তুলে, কেননা প্রচুর বৈপরীত্য থাকায় নানান ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকে। কিন্তু যখন এরা এমন কাউকে খুঁজে পায়, যে তার আবেগ, সংবেদনশীলতার জায়গাটা পুরোপুরি বুঝতে পারে তখন আবার এরাই খুব ভালো প্রেমিকে পরিণত হয়। যদিও তারা হৃদয়বান ও সৎ চিন্তার মানুষ, কিন্তু ক্রমাগত ভুল মানুষ পছন্দ করায় এরা নিজেরাই নিজেদের খারাপ দিকগুলো বের করে আনে।