ধরুন, মিষ্টি খেতে আপনার একদম ভাল্লাগে না। কিংবা চা-কফিতে চিনি না খাওয়াটাই অভ্যেস। বন্ধুবান্ধব বা পরিচিতরা অনেকেই আপনার চা-কফি অর্ডারের সময় ‘চিনি ছাড়া’ বা ‘উইদাউট স্যুগার’ টাইপ নির্দেশনা শুনে হেসে বা অবাক হয়ে বলেন, ‘ডায়াবেটিস নাকি’? আপনি হয়ত শুনতে শুনতে অভ্যস্ত, তবে ডায়াবেটিক পেশেন্টদের জীবনের হাঙ্গামা তো স্রেফ চিনি-বিসর্জনে আটকে নেই, থাকে না! আপনার পরিচিত ডায়াবেটিক পেশেন্টটি যে জীবনের অভ্যস্ততায় চলতে বাধ্য, তার মানতে হয় রাজ্যের রুটিন আর নিয়মকানুন।
১. ইঞ্জেকশন-ভীতি আছে আপনার? প্রার্থনা করুন, কোনোদিন যেন ডায়াবেটিক পেশেন্ট না হয়ে পড়েন! দিনে ৫ বার পযন্ত ইনসুলিন নেওয়ারও দরকার পড়ে অনেক ডায়াবেটিক পেশেন্টের।
২. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিটি বেলা খাওয়া-দাওয়া যেন তাদের জন্য ঐকিক নিয়মের অংক মেলানোর মতো কঠিন!
৩. যে কোনো রকমের ফাস্টফুড, তৈলাক্ত খাবার দেখে লোভ যতই হোক—দূরে থাকতে হয় তাদের।
৪. অ্যালকোহল ব্লাড সুগার কমাতেও পারে আবার বাড়াতেও পারে। তবে অ্যালকোহলিকদের জন্য বিষয়টা এমন, মনের খায়েশে ‘ইচ্ছামতো’ পান করার অধিকারটা একেবারেই থাকে না তাদের। পান করলেও, খুব মেপে আর রয়েসয়ে কিন্তু!
৫. পিপাসা তাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। খানিকটা সময় বাদেই তাদের বেশ পানির তৃষ্ণা পেতে পারে, গলা শুকিয়ে যেতে পারে।
৬. ডায়াবেটিক পেশেন্টদের ব্যায়াম নিয়মিত যেমন করতে হয়, তেমনি সেটার মাত্রাও মেনে চলতে হয়। চাইলেই দশাসই কোনো ওয়ার্কআউটের পরিকল্পনা করতে পারেন না তারা।
৭. চোখের জন্য থাকতে হয় সদাসতর্ক। গ্লুকোমার সম্ভাবনা থাকে ডায়াবেটিক পেশেন্টদের, কাজেই চোখের জন্য নিয়মিত যত্ন আর নিয়মনীতি মানা ছাড়া উপায় কী তাদের!
৮. ডাক্তারের চেম্বার হয়ে ওঠে নিয়মিত ঘুরতে যাওয়ার জায়গা!
চিনি খেলেই ডায়াবেটিস হবে? বা চিনি না খেলেই ডায়াবেটিস থেকে রেহাই? বিষয়টা এমন না কিন্তু, আর রোগটাও কষ্টের, কারণ জীবনটা বদলে যায় একেবারে। সতর্ক থাকুন যে কোনো বয়স থেকেই।
স্কুপহুপ অবলম্বনে
ছবি- পিন্টারেস্ট, আরডি ডট কম