শুরুতে কেবলই যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হলেও বদলে গেছে দিন। বাইক এখন লাইফস্ট্যাইলের অন্তর্গত। মোটর চালিত দু’চাকা নিয়ে উন্মাদনাও তরুণদের মাঝে নতুন কিছু নয়। বাইকের ধরণ কিংবা শৈলী কিন্তু (ট্রেন্ড) বছর বছর বদলায়। কয়েক বছর আগেও স্পোর্টস বাইকের প্রতি তরুণদের এক ধরনের তীব্র আকর্ষণ ছিল, যদিও সে আকর্ষণে এখন কিছুটা ভাটা পড়েছে। তরুণরা এবার মেতেছে নতুন ধরনের বাইকে, যার নাম- ‘ক্যাফে রেসার বাইক’।
ক্যাফে রেসার বাইক বা ক্যাফে বাইকগুলো হয় একদমই ক্লাসিক স্টাইলের। থাকে পুরনো কালের অবয়ব (ভিন্টেজ লুক)। অনেক পুরনো স্টাইলের পুনরায় জনপ্রিয়তা পাওয়াই ক্লাসিক ফ্যাশনের রীতি। এ রীতি বাইকের ক্ষেত্রেও ভিন্ন নয়। গোল হেডলাইটের সেই পুরনো স্টাইলের মোটরসাইকেল, আবার কিছুটা নতুন আঙ্গিকে ফিরে এসেছে ক্যাফে বাইক নামে। যদিও এ নামটি আগেও ব্যবহৃত হতো। ১৯৬০ সালের দিকে ক্লাসিক বাইক নিয়ে রেস করতো পশ্চিমা অভিজাত পরিবারের তরুণেরা। সেই স্ট্যাইল ও বাহ্যিক রূপ বর্তমানের ফ্যাশন হয়ে ফের দাঁড়িয়েছে।
বিএমডাব্লিউ, হোন্ডার মতো ব্র্যান্ডের রয়েছে নতুন মডেলের ক্যাফে বাইক। তবে তা বাংলাদেশে সহজলভ্য নয়। কারণ প্রধানত দুইটি – দাম ও আমদানি নিয়ে জটিলতা। আবার কিছু বাইক আমাদের দেশে চালানোর অনুমোদন নেই। যদিও তাতে দমে থাকেননি ফ্যাশন সচেতনরা। নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিচ্ছেন ক্যাফে রেসার বাইক। যাতে আইনি জটিলতা এড়ানো যায়।
নিজেদের মতো করে ক্যাফে রেসার বাইক গড়তে তরুণদের পছন্দের তালিকায় থাকে ইয়ামাহা, হোন্ডা, সুজুকির মোটরসাইকেলের অনেক পুরনো সংস্করণগুলো। ক্যাফে রেসার বাইক কাস্টোমাইজড করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা ভালো-
১। বেছে নিতে হবে ক্লাসিক বাইক। এক্ষেত্রে তালিকায় রাখা যেতে পারে হোন্ডা, ইয়ামাহা, সুজুকি, ইজুসুর মতো কোম্পানির পুরনো সংস্করণের বাইকগুলো।
২। কোথায় কেমন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন প্রয়োজন তা নিয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা করা, এবং সেই অনুযায়ী কাজে নেমে পড়া।
৩। পুরনো সংস্করণের বাইকগুলোর বডি ছোট হয়, কিন্তু চাকাসহ অন্যান্য পরিবর্তিত যন্ত্রাংশ তুলনামূলক ভারি। তাই ভারসাম্য রক্ষায় প্রয়োজন ভালো মানের সাসপেনশন। না হলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। নিজের ও অপরের নিরাপত্তার স্বার্থে এক্ষেত্রে কার্পণ্য করা চলবে না।
৪। টায়ার পরিবর্তন করা জরুরি। রেসিং লুক আনতে বেছে নিন মোটা টায়ার।
৫। ব্রেক পরিবর্তন জরুরি নয়। তবে কেউ ১০০ সিসি’র বেশি পাওয়ারফুল বাইক কাস্টোমাইজড করতে চাইলে ভালো মানের ব্রেক লাগাতে হবে।
৬। ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে হলে সতর্ক থাকুন। পরিবর্তনের বিষয়াদি নিজে না বুঝলে ইন্টারনেট অথবা কোন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের সহযোগিতা নিন।
৭। ইঞ্জিন পরিবর্তন করলে পরিবর্তিত ইঞ্জিন নাম্বারের বিপরীতে লাইসেন্স করে নিন।