দ্য কিং অফ রক অ্যান্ড রোল

অঞ্জন দত্ত বাংলার ওপারে বসে লিখেছিলেন গান। ম্যারি অ্যান। তার দু’লাইন ঠিক এমন।

‘মাথার ভেতর ছিল এলভিস প্রিসলি

খাতার ভেতর তোমার নাম।’

আমাদের বেড়ে ওঠার সময়ের বিখ্যাত গানে আরেক বিখ্যাতের পদরেখা। মাত্র ৪২ বছরের জীবন। ঠিক ৪০ বছর আগের এক ১৬ আগস্টে গত হয়েছিলেন তিনি। তবুও যেন বেঁচে আছেন মনের অলিতে গলিতেও!! ‘দ্য কিং অফ রক অ্যান্ড রোল’ খেতাব এখনও শুধু তারই। নইলে যুক্তরাজ্যের টপ চার্টের শীর্ষে তার নাম কিভাবে উচ্চারিত হয় ১২ বার!! যার শেষতম ঘটনাটি ঘটেছে মাত্র বছর দুয়েক আগে।

তার খ্যাতির তুলনা নেই। এখনো তুলনার যোগ্য কারোর আগমনও ঘটেনি। চলুন ভুলে যাই উপরে মনে করা আবেগের গানের দু’লাইনের গপ্পো। বরং তাদের সাথে পরিচিত হই যারা নিতান্তই এলভিসের সময়ে বেড়ে ওঠা মানুষ। ফ্যান থেকে পুরোদস্তুর ব্যবসায় নেমে পড়েছেন ব্র্যান্ড প্রিসলিকে নিয়ে।

স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের দেশেও রক ন রোলের মার্কিনি তারকা মাথা উঁচিয়েই দাঁড়িয়ে আছেন। এমন বিশাল ভক্তকূল ছিল যার সেটিকেই পুঁজি করে সুদূর ডেনমার্কে বছরে ১১ হাজার স্যান্ডুইচ বিক্রি হয়, মার্কেটিং পলিসি এটি নাকি প্রিসলির প্রিয় স্যান্ডুইচ। শুধু স্যান্ডুইচে ক্ষমা নেই দোকানের নামও এলভিসের সাবেক আবাসস্থল গ্রেসল্যান্ডের নামে।

ভক্ত হেনরিক প্রিয় রকস্টারের স্মরণে বানিয়েছেন গ্রেসল্যান্ড ম্যানশন। আইনি মারপ্যাঁচে যার বর্তমান নাম- মেমফিস ম্যানশন। উত্তর ডেনমার্কের টুরিস্ট এলাকায় এই ম্যানশন বহাল তবিয়তে চলছে ২০১১ থেকে। সাথে রয়েছে মিউজিয়াম। এবং অতি আবশ্যকভাবেই একখানা এলভিস ফ্যান ক্লাব।

আরও এক পাগল ফ্যান তাকে নিয়ে বানিয়েছেন ফ্যান ক্লাব। সেই কবে লুক্সেমবার্গে প্রথম দেখা হয়েছিল এলভিসের সাথে। সিড শাউ ১৯৭৮ সাল থেকেই এলভিসকে নিয়ে বিভিন্ন স্মৃতি স্মারক প্রায় ৫০টির মত দেশে সরবারহ করে চলেছেন। এই কাজেই বানিয়েছেন আস্ত একখানা ওয়েবসাইট ‘Evisly Yours

তারকা এলভিসের মৃত্যু যেন তাকে আরও জীবন্ত করেছে। জীবদ্দশাতে তো কিংবদন্তী ছিলেনই, সীমানা ছাড়িয়েছেন আরো, অন্যজগতে যাবার পরেও। এমনকী মৃতদের মাঝেও তিনি সেরা তারকা, ফোর্বস ম্যাগাজিনতো অন্তত সেরকমই বলছে। এভাবেই এলভিস প্রিসলি আজও বেঁচে আছেন।