ঘরের মাঠে, চার নম্বরে মুমিনুল হকের টেস্ট অ্যাভারেজ ১০৯.৪০ অথচ তিনি একাদশে নেই!
টি- ২০তে তুখোড় সাব্বির হতে পারতেন ভবিষ্যতের ভরসা! টেস্টের টেম্পারমেন্টের সাথে মানিয়ে উঠতে পারার আগেই তাকে নামানো হচ্ছে নানা পজিশনে।
প্রায় একই কথা খাটে সৌম্য সরকারের বেলায়ও। টাইগারদের অন্যতম স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যানের টেকনিক নিয়ে কাজের সুযোগ রয়েছে এখনও। সেগুলো ঠিক করার জন্য আছে ঘরোয়া লিগ- ওয়ানডে, কিন্তু তাকেই নামানো হচ্ছে টেস্টে।
ওপেনার ইমরুল কায়েস, যিনি লম্বা ফরম্যাটে তামিম ইকবালের সাথে ওপেন করতে অভ্যস্ত, তাঁকে দেয়া হলো তিনে।
ফলাফল ১০ রানে তিন উইকেট!
এটা সত্যি যে, একটি খারাপ সেশনে দুনিয়ার সেরা দলটিরও একই অবস্থা হতে পারে কিন্তু একজন ইগোস্টিক কোচ নিজের ইগো বাঁচাতে সাধ করে দলকে এই অবস্থায় ফেললে সেটাকে বলে আত্মহত্যা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের গত তিন বছরের সাফল্যের জন্য, খেলোয়াড়দের মানসিকতায় পরিবর্তন আনার জন্য বর্তমান কোচের অবদানটুকুই বড় করে দেখা হয়, অথচ মাশরাফির নেতৃত্ব, তার উজ্জীবনী শক্তিতে টানা জয় পেয়ে আরো চাঙ্গা দলটা তর তর করে এগিয়ে চলছে সেই সত্যটা কতটুকু স্বীকার করি আমরা?
আজকে কোচ পুরো একটি জাতির ইমোশন নিয়ে কটাক্ষ করে টুইট করেছেন অথচ ক্রিকেটের ইতিহাস জানা থাকলে এই শ্রীলঙ্কায় জন্ম নেয়া অস্ট্রেলিয়ান বুঝতেন যে, ক্রিকেট আবেগের খেলা, আর বাংলাদেশের ক্রিকেটতো আবেগের পাটাতনেই গড়ে উঠা।
শুধু কি এদেশের ক্রিকেট? তথাকথিত আবেগহীন অস্ট্রেলিয়াও কি নয়? তা নাহলে ডন ব্র্যাডম্যানকে দলে ফেরাতে পুরো অস্ট্রেলিয়া ১৯৩২-৩৩’র সিরিজে ফুঁসে উঠে? স্বৈরাচারী নির্বাচকদের বিরুদ্ধে স্লোগানে মাতিয়ে তোলে?
কোচ চন্ডিকা কি তাকে আশ্রয় দেয়া ‘মহান’ অস্ট্রেলিয়া নিয়ে এ ধরনের কথা বলতে পারতেন? নাকি আসলে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে দিয়ে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন?
কথাটা বাজে শোনালেও দলের চেয়ে নিজের ইগোকে বড় করে দেখা একজন লোক নিয়ে ‘আবেগী’ সমর্থকদের এরকম কথা আজ স্যোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আটকে রাখা মুশকিল।
অতি দম্ভ যেকোন দায়িত্বশীল লোকের জন্য বিপদজনক আর দম্ভীর হাতে অতিক্ষমতা থাকলে সেটাতো ভয়াবহ বিপর্যয়। সম্ভবত কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এখন জাতীয় দলের জন্য ঘা হয়ে উঠেছেন, পুরো শরীরে সেটি ছড়ানোর আগে তার দ্রুত পত্রপাঠ বিদায় বিসিবির আশু কর্তব্য।