সালমান খান মানেই বক্সঅফিসে নিত্য নতুন রেকর্ড! যদিও মাঝের টিউবলাইটে লেগেছিল শনির দশা। গত বেশ কবছরে সালমান খান মানেই সুপারহিট- এমন ক্রেজ দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ফিরে আসছেন সাল্লু কারণ বাজারে এরইমধ্যে চলে এসেছে তার পরের সিনেমা “টাইগার জিন্দা হ্যায়”-এর ফার্স্ট লুক! এই ফার্স্ট লুকে ক্যামেরার উল্টোদিকে ফিরে থাকা ছবিতেই হই হই রৈ রৈ শুরু হয়েছে পুরো ইন্ডিয়া জুড়ে।
ওয়ান্টেড সিনেমায় সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন সেই ২০০৯ সালে। এরপর প্রতি ঈদেই সামনে হাজির হন তিনি। একশ কোটি টাকার সিনেমার চলতো শুরু করেছেনই, জমিয়ে নেচেছেন কিছু আইটেম গানেও। সাথে আইটেম কন্যা মালাইকা আরোরা অথবা কারিনা কাপুর। বলা যায় আইটেমের বাজারও ছিল তারই দখলে।
ঝুড়িতে কি শুধুই সফলতা? এই কি তার সাজানো ক্যারিয়ারের চিরায়িত চল? নাহ। ফ্লপ সিনেমার তালিকাগুলো ঝালাই করে দেখুন। চলুন নামগুলো জেনে নেই, ছোট্ট করে স্পয়লার সহযোগে।
চাল মেরে ভাই
দুই ভাই প্রেমে পড়েছেন, একই মেয়ের। গল্পের পরের ধাপগুলো খুব কমন ছঁকে বাধা। দু’জনের মনের মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কারিশমা কাপুর। একজন নায়কের চরিত্রে ছিলেন সালমান, আর তার বড়ভাইয়ের চরিত্রে সঞ্জয় দত্ত। এত তারকা দিয়েও আলো জ্বলেনি বক্স অফিসে। বড় রকমের ফ্লপ সিনেমাটির রিলিজ ২০০০ সালে।
হার দিল যো পেয়ার কারেগা
ছবির টাইটেল গান অথবা সিয়ামিজ টুইন খ্যাতি পাওয়া রানী মুখার্জী-প্রীতি জিনতার ‘পিয়া পিয়া’ গানের কারনে এই সিনেমার কথা অনেকেই এখনো ভোলেননি। অনর্থক একটা বড় ক্যামিও করেছিলেন কিং খান থুক্কু শাহরুখও। দুই খানের টক-ঝাল-মিষ্টি রসায়নের গল্প, সেসময়ের সফলতম দুই অভিনেত্রী থাকার পরেও বক্স অফিসে চুড়ান্ত ফলাফল সেই ফ্লপ! একই বছরে টানা দ্বিতীয় ফ্লপ দিয়েছিলেন সালমান, গোল্ডেন ডাকের মতোই। ২০০০ সালের সিনেমা।
দিল নে জিসে আপনা কাহা
সময়ের ক্রেজ প্রীতি জিনতা, ভূমিকা চাওলাকে নিয়েও একটুকু খুশি করতে পারেননি বক্স অফিসকে। পরিচালক ছিলেন ভগ্নিপতি অতুল অগ্নিহোত্রী। সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। সালমানের চূড়ান্ত ব্যর্থ সিনেমার তালিকায় এটি সম্ভবত শীর্ষে থাকবে। অথচ এর আগের বছরেই ভূমিকার ‘তেরে নাম’ নামের দারুন এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
শাদি কারকে ফাঁস গায়া ইয়ার
প্রেম-বিয়ে-সংসার। গল্পের লাইনআপটা এমন হলেও কেমন খাপাছাড়া একটা গন্ধ রয়ে গিয়েছিল। বক্স অফিসে বাজে রকম ফ্লপ হয় সালমান খান-শিল্পা শেঠি জুটির এই সিনেমা। সিনেমা মুক্তির সাল ২০০৬।
ইয়ুভরাজ
সাবেক প্রেমিকার তালিকায় তখনো ক্যাটরিনা নাম লেখাননি। সুভাষ ঘাইয়ের হয়ে তাই দুজনে মিলে বেশ মসলাদার সিনেমা উপহার দিতেই চেষ্টা করেছিলেন। ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনিল কাপুর, জায়েদ খান এমনকি সংগীত নিয়ে ছিলেন এ আর রহমানও! তবে আবারো বিগ বাজেটের সিনেমা নিয়ে বিগ ফ্লপ ঘটানোর অত্যাশ্চর্য তেলেসমাতি দেখাতে সক্ষম হন সুভাষ ঘাই, সালমানের তরী ডুবেছিল সেবারেও।