সড়ক দুর্ঘটনা তো আর বলেকয়ে আসে না। মুহূর্তের বেখেয়াল অসাবধানতায়, হুট করেই হয়ে যায়। তাই সচেতন থাকা জরুরি। তবে দুঃখের বিষয় হলো এই সচেতনতা মুখে মুখেই। নাহলে প্রতিদিন এই এত এত দুর্ঘটনা তো এমনি এমনি ঘটেনা। ইন্টারনেট ঘেটে বিশ্বজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রথম যে কারণটা সামনে আসে সেটি হচ্ছে ডিসট্রাক্টেড ড্রাইভিং (Distracted Driving)। অর্থাৎ মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত গতি কিংবা ট্রাফিক আইন অমান্য করার মতো বিষয় নয়, ডিসট্রাক্টেড ড্রাইভিং হলো ড্রাইভিংয়ের সময় অন্যকিছুতে মনোযোগী থাকা। এমন কিছু যেটা আপাতদৃষ্টে একেবারেই নিরীহ কাজ। এই যেমন ধরুন মোবাইল ফোনে কথা বলা, ছবি তোলা, টুকটাক টেক্সটিং কিংবা মামুলি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং। কী ভয়ংকর! যৎসামান্য এই কাজগুলো, হ্যাঁ, গাড়ি চালানোর সময় সামান্য এই কাজগুলো করার কারণেই প্রতিবছর সারাবিশ্বে ঘটছে সবচে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা। এই তথ্যেও যদি নেক্সট টাইমের জন্য সচেতন না হয়ে থাকেন, তাহলে একবার নিচের বিজ্ঞাপনগুলো দেখে নিন।
#ইটক্যানওয়েট
সেইফ ড্রাইভিংকে প্রমোট করে ‘ডোন্ট টেক্সট অ্যান্ড ড্রাইভ’ মেসেজনির্ভর অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অনেক দেখেছেন, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশের সরকারে জন্য বানানো বিজ্ঞাপনটিতে এফসিবি কেপটাউন বিষয়টিকে দেখিয়েছে একটু ভিন্ন অ্যাঙ্গেলে। ৪০ সেকেন্ড স্পটের প্রথম ২৫ সেকেন্ড বেশ ফানি। মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে রাস্তায় হাঁটার সময় কেমন হেনস্থা হয় পথচারীরা, মজার সাউন্ডট্র্যাকে সেটা উপভোগ করতে অডিয়েন্স দেখবেন মেসেজ অ্যাপিয়ার করতে- “ইউ কান্ট ইভেন টেক্সট অ্যান্ড ওয়াক”। মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে এমনকি আপনি ঠিকমতো হাঁটতেও পারেন না। বাট পরেরটুকুর জন্য বলবো, ইউ উড নেভার সি ইট কামিং। হাস্যরসাত্মক একটা বিষয় যে এভাবে হরিফাইং টার্ন নেবে আগে থেকে বলে না দিলে আন্দাজ করতে পারবেন না। যদিও পরের ভিজুয়ালটা এতোটাই স্ট্রাইকিং, কপি না দিলেও চলতো। একটা ‘আকেলমান্দ’-এর ইশারার মজা পাওয়া যেতো শেষপাতে।
ডোন্ট স্ক্রল অ্যান্ড ড্রাইভ
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের পেজ স্ক্রল করবেন আবার সে সময় ড্রাইভিংও করবেন? তাহলেই হয়েছে। কী হতে পারে, ম্যাপফ্রে ইন্সুরেন্সের বিজ্ঞাপন দেখে নিয়ে সাবধান হয়ে যান এখনই। ফেসবুক হোমফিডে আসা সুইট লিটিল বাচ্চাটি কতোটা কিউট তা ভাবতে ভাবতে মুচকি হেসে যখন পরের পোস্টটায় পৌঁছেছেন, ওই সামান্য সময়ের মধ্যেই কিন্তু উল্টোদিক থেকে আসা একটা বাসের সাথে জোরদার সংঘর্ষ হয়ে যেতে পারে। ইউ নেভার নো।
সোর্সঃ অ্যাডস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড
ডোন্ট সেলফি অ্যান্ড ড্রাইভ
‘ডোন্ট স্ক্রল অ্যান্ড ড্রাইভ’-এর আগে অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার ব্র্যান্ড রেনো ‘ডোন্ট সেলফি অ্যান্ড ড্রাইভ’ ক্যাম্পেইনও করে ফেলেছে। গাড়ি চালানোর সময় রাস্তাতেই হেব্বি কুল ভাব নিয়ে সেলফি তুলবেন? খবরদার! আপনার নজর হয়তো মোবাইলের স্ক্রিনে, কিন্তু সানগ্লাসের কাচে খেয়াল করে দেখুন, ওই সময়ই সামনে একটা বাইক চলে এসেছে হয়তো, কিংবা হুট করে চলে এসেছে এক দুরন্ত শিশু। আপনার একটা সেলফির চেয়ে একটা জীবনের ভ্যালু অনেক বেশি। বারবার বলে বোঝানোর দরকার আছে কি?
সোর্সঃ অ্যাডস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড