ঢাকায় আসছেন নবাব পত্নী, পাঁচ শিল্পীর নাচ আর সম্ভাব্য গান সমূহ

শর্মিলা ঠাকুর। ষাট, সত্তর কিংবা আশির দশকে নবাব বাড়ির বেগম অথবা ঠাকুর বাড়ির কন্যা এসব পদবী চুলোয় ঢেলে শুধু নিজের গুণেই মাতিয়েছেন বলিউড। ষাট অথবা সত্তরের দশকে ডিমান্ডিং রোলে শর্মিলা ঠাকুরের বিকল্প ভাবেননি কেউই। ভাবছেন কথা হচ্ছে শুধু বলিউডের মাসালা ছবি নিয়ে? বঙ্গললনা কিন্তু মাতিয়েছেন টালিগঞ্জ পাড়াও। যার অভিষেক কিংবদন্তী সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে, দেবীরূপে। অতঃপর শক্তি সামন্তের পরিচালনায় আরব সাগর পাড়ে ঢেউ তোলা। আদ্যন্ত সিরিয়াস অভিনেত্রী বলে পরিচিত শর্মিলা ভারতীয় চলচ্চিত্রের দর্শক যা আগে কল্পনাও করেননি, তাই করেছেন। সেলুলয়েডে আসেন বিকিনি পরে। প্রথম বিদেশের মাটিতে ভারতের হয়ে সিরিজ জেতা ক্যাপ্টেনের সাথে তার হাই প্রোফাইল রোম্যান্সও পেজ থ্রির পাতা গরম রেখেছে এককালে। ফুলটাইম অভিনয়কে টাটা বাই বাই জানিয়ে বিদায় নেওয়ার পরেও কাজ করেছেন সেন্সর বোর্ডের প্রধান হয়ে। এমনকি সেদিনতো ডাক পেয়েছেন সারা বিশ্বের অনেক গুণীজনের সাথে, অস্কার কমিটিতে।

এবার তবে অন্য গল্পে যাই। আসছে ১৫ জুলাই এই কিংবদন্তী অভিনেত্রী আসছেন কোলাহলের শহর ঢাকায়। কিছুটা সময় কাটাবেন আলাপচারিতায়, বাংলাদেশের দর্শকদের সাথে। তার সম্মানে তার অভিনীত সিনেমার গানগুলোতে নৃত্য পরিবেশন করবেন আমাদের দেশের পাঁচ নৃত্যশিল্পী-অভিনেত্রী।  তারা হলেন তারিন, নিপুণ, মেহজাবিন, নাদিয়া এবং চাঁদনী।

তার অভিনীত আলোড়িত অথবা আলোচিত সব গান থেকে নির্বাচিত হতে পারে কোন গানগুলো?

চলুন একটা লিস্টি হয়ে যাক। কে জানে, এগুলোই হয়তো আসছে আসরে তার ও তার ভক্তদের জন্য পরিবেশিত হতে যাচ্ছে।

১-মেরে সাপনো কি রাণী  

দার্জিলিং। টয় ট্রেনে বসে আছেন শর্মিলা ঠাকুর। চলন্ত ট্রেনের সাথে সাথে গাড়িতে চলছেন রাজেশ খান্না। কিশোরকুমারের গাওয়া এই গানটি হতে পারে নাচের জন্য প্রথম পছন্দ। বাংলা ও হিন্দি দুই ভাষাতেই নির্মিত ‘আরাধনা’ ছবির এই গানের লাইনগুলোর মতই আজো যে তিনি লাখো হৃদয়ে স্বপ্নের রাণী। তারিনের নাচের জন্য এটি হতে পারে অতি উত্তম এক বাছাই।

২- জুবি জুবি জালেম্বু

আশা ভোঁসলের গানের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে সেই জমকালো নাচ,  বলছি ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’ ছবির কথা। শর্মিলা ঠাকুরের বলিউড যাত্রার বয়স তখন মাত্র তিন বছর। চ্যালেঞ্জিং পোশাকে শর্মিলার এই প্যারফরম্যান্সটি ফিরতে পারে নিপুনের পরিবেশনায়।

৩- রায়না সোয়ি সোয়ি

বিয়ের পরে হারিয়ে যাবেন ভেবেছিলেন যারা তাদের মুখে চুনকালি দিয়ে ফিরেছিলেন পতৌদির বেগম। পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছেন লতা মুঙ্গেশকরের গানে। আর অসাধারণ নাচের পরিবেশনা তো ছিলোই। ছবির নাম ‘ইয়ে গুলিস্তান হামারা’। আলোচিত সিনেমাটির এই গানের পরিবেশনা করতে পারেন নাদিয়া।

৪- লেজা মেরা দিল

শর্মিলা আরো একটি অনবদ্য ঝলক দেখিয়েছিলেন ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’ ছবির এই গানে। এযুগের বিকিনি-সুন্দরীরা চাইলে দেখে নিতে পারেন এই গান। অনুপ্রেরণা হিসেবে খারাপ হবে না। এই নাচে মেহজাবিন থাকলে মন্দ কি?

৫- চুড়িয়া বাজার সে মাঙ্গা দে

সুহানা সফর সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন শশী কাপুরের সাথে। গানের সাথে দারুণ নাচের জুটিও হয়েছিলেন আপাদমস্তক সিরিয়াস দুজন অভিনয় শিল্পীই। আমাদের অনুমানের ফিরিস্তির তালিকার শেষ গানটি চাঁদনীর পরিবেশনার জন্য।