ঈদ-উল-ফিতরের বাজার। টুপি-সেমাই আর কাপড়ের বাজারে ক্রেতার ভীড়। বাণিজ্যের রমরমা পাঞ্জাবি বাজারে। হবে নাইবা কেন? ছেলেদের ঈদের পোশাক মানেই তো পাঞ্জাবি। আসন্ন ঈদকে মাথায় রেখে চলছে কেনাকাটা সুতরাং ফ্যাশন হাউজগুলোতেও এসেছে পাঞ্জাবির নতুন ও বিশেষ সংগ্রহ। ব্র্যান্ড শপে একচক্কর ঘুরে খোঁজ পাওয়া গেল পাঞ্জাবির কোন দশটি স্টাইল প্রভাব ফেলেছে এবারের ঈদ ট্রেন্ডে।
বেসিক পাঞ্জাবিঃ
নামেই বোঝা যাচ্ছে ডিজাইনে যুক্ত হবেনা অতিরিক্ত কোনকিছুই। পাঞ্জাবির খুবই বেসিক প্যাটার্ন অনুসরণ করা হয়েছে এক্ষেত্রে। থাকছে না কোন এমব্রয়ডারি বা প্রিন্টের কাজ। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একরঙা এই পাঞ্জাবিগুলোতে মাঝে মাঝে দেখা যায় কাপড়ের বুননের বৈচিত্র্য।
এক্সট্রা ভ্যালু অ্যাডেড অন নেকঃ
শুধু ঘাড়ের কাছে থুক্কু নেকের অংশে ডিজাইনকে হাইলাইট করা হয় এ স্টাইলে । মানে ব্যান্ড কলার এবং প্লাকেটে এমব্রয়ডারি বা প্রিন্টের নকশা থাকে। বডির অন্যান্য অংশে কোন কাজ থাকে না।
মোটিফ ওয়ার্ক অন চেস্টঃ
মোটিফ আদপে সহজ ও সাধারণ স্টাইল হলেও অসম্ভব জনপ্রিয়। শোল্ডার জয়েনিং থেকে সমগ্র চেস্ট জুড়ে এমব্রয়ডারি বা প্রিন্টের মোটিফ ওয়ার্ক থাকে এ স্টাইলে।
আউটার প্লাকেট ও কলার মোটিফঃ
কলার, প্লাকেট, কাফ থিমঃ
কলার ও প্লাকেটের সঙ্গে কাফ হাইলাইট হবে এ স্টাইলে। মানে এই তিন অংশেই এমব্রয়ডারি বা প্রিন্টের মত কাজ থাকবে।
অল ওভার প্রিন্টঃ
সারা বিশ্বের অনেক পোশাকেই অল ওভার প্রিন্ট এখন ট্রেন্ডি। ফ্যাশনের সে চল দেখা যাচ্ছে আমাদের পাঞ্জাবিতেও। পাঞ্জাবিতে অল ওভার প্রিন্ট নতুন কিছু ন হলেও চলতি ট্রেন্ডের খাতিরে তা অন্যরকম প্রভাব ফেলছে। এ স্টাইলে সমগ্র পাঞ্জাবি জুড়ে হতে পারে ফ্লোরাল, জ্যামিতিক মোটিফ অথবা অন্যকোন মোটিফের প্রিন্ট।
নবাবি স্টাইলঃ
নবাবি চাল বলে কথা- একটু জমকালো তো হওয়া চাই। তাই ব্যবহৃত হয় ওয়েল ফিনিশড সিল্ক, মসলিনের মত দামি কাপড়। অনেক সময় সার্ফেস অর্নামেন্টেশনও খুব অভিজাত করে করা হয়। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় শেরওয়ানি প্যাটার্ন।
টাই ডায়ঃ
বিভিন্ন নকশা অনুযায়ী কাপড় বা পোশাককে বেঁধে ডায়িং করা আমাদের দেশের পুরোন রীতি। টাই ডায়ে এক অন্যরকম সুন্দর প্রিন্ট ইফেক্ট আসে, যা অন্যান্য সময়ের মত উৎসবের পোশাকেও চাহিদা ফেলে। আসন্ন ঈদেও প্রভাব দেখা যাবে তাই ডায়ের।
ডেনিমঃ
ফ্যাশন এখন বৈশ্বিক। ডেনিম ফ্যাব্রিকে পাঞ্জাবি ডিজাইন হওয়া তারই দারুণ এক উদাহরণ। বিশ্বাঙ্গণে প্রথম শ্রেণির স্টাইলকে নিজেদের পোশাকে কাস্টমাইজড ভাবে কাজে লাগিয়ে নতুন ট্রেন্ড সৃষ্টি করাই ডিজাইনারদের কৃতিত্ব। ডেনিম পাঞ্জাবি গত এক-দুই বছর সেই দৃষ্টান্তই সৃষ্টি করে চলেছে। তবে ডেনিমের যে পাঞ্জাবি কিনছেন তা গরমের জন্য সহনীয় কিনা বুঝে নিন। দেখে-বেছে নিন পাতলা কাপড়। ভালো ব্র্যান্ডেড ফ্যাশন হাউজগুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সে নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।
ঐতিহ্যঃ
গার্মেন্ট ডিজাইনে সুযোগ থাকে নিজেদের ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতি থেকে উৎসাহ পাওয়ার। পাঞ্জাবিতেও সেই চল দেখা যায়। এক্ষেত্রে কোন কোন ডিজাইনে প্রিন্টের মাধ্যমে ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে দেখা যায় ডিজাইনারদের। মোটিফ হয়ে ওঠে পট, কাঁথা ও সরার চিত্রল বর্ণেরা।
ছবিঃ আড়ং ও ইয়েলোর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত