ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করছেন? ফেরিঘাটের জ্যাম আর ট্রেনের টিকেটের ঝক্কি এড়াতে বাহন হিসেবে বেছেছেন মোটরসাইকেল?
আপনার সিদ্ধান্ত বদলানোর এখনই সময়।
কেননা ৭ জুন পুলিশের হাইওয়ে রেঞ্জের মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ’ঈদের আগে বাসে-ট্রেনে টিকিট না পেয়ে অনেকেই একশোরও বেশি কিলোমিটার দূরে গ্রামের বাড়িতে যেতে মোটর সাইকেল চেপে বসেন। ঈদের এই ভিড়ভাট্টার মধ্যে মোটরসাইকেল চালানোর মনোসংযোগ সবাই ধরে রাখতে পারেন না। তাই এবার ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথগুলোতে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে।’
প্রতি বছর অনেক পরিবারেই ঈদের খুশি বিলীন হয়ে যায় মহাসড়কের সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর কারণে।এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতেই এবছর ঈদ-উল-ফিতরে এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিস। পাশাপাশি মহাসড়কগুলোতেও সীমিত করা হবে মোটরসাইকেলের চলাচল। আর তাই দূর পাল্লার ভ্রমণে সাথে মোটরসাইকেল থাকলে আপনাকে ঢাকার প্রবেশ পথেই আটকা পড়তে হবে।
দূরপাল্লার মহাসড়কের বিভিন্ন পুরনো সমস্যার সাথে এখন কাজ চলছে ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কের সংস্কারেরও। তাই মোটরসাইকেল চালানোর জন্য মোটেই উপযুক্ত নেই রাস্তাগুলোও। একারনেই হাইওয়ে পুলিশ এবছর চন্দ্রা মোড়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি এলাকায় বিশেষ নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি তরুণদের ঈদের হাইওয়ে রাইডের বিষয়েও সতর্ক থাকবে হাইওয়ে পুলিশ বলেও জানিয়েছেন তিনি।