একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি

বিশ্বায়নের এই এক আজব ধাঁচ! আজ নিউ ইয়র্ক-মুম্বাই তো কাল ঢাকা-কোস্টারিকা সার্ভ করছে সে একই প্লেটে। কনজ্যুমার? সে তো অনলাইন দুনিয়ার উদার টেবিলের চারিপাশেই আছে।

হলিউডি নির্মাতা পি.জি. তাই এক গানে মিলিয়ে দিলেন ঢাকা আর কোস্টারিকাকে। এযুগের বাংলা গানের হার্টথ্রব তাহসানের সাথে স্ক্রিনে ‘হারিয়ে গেলেন’ সেদেশের জনপ্রিয় মডেল ব্রি।

ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার দাপটে গান এখন আর শুধুমাত্র শোনার বিষয় নয়, দেখারও। বাংলা গানে তাই মনের পিপাসা মিটলেও ক্ষুধিত চোখ নিয়ত উঁকি দেয় গুগলের ভিনদেশি জানালাতেও। এবার সেই ক্ষুধাও মিটছে তাহসানের নতুন গান ‘চলো না হারাই’ দেখে।

হলিউডের কোনো পরিচালক এই প্রথম বাংলা গানের মিউজিক ভিডিও তৈরি করলেন। আবার তাতে যোগ হলেন নামকরা মডেলও।

কোস্টারিকান লাস্যময়ী মডেন ব্রি

আউটপুট? একদম ফোর কে। ঝকঝকে ছবি শুধু নয় এমন নান্দনিক ভিডিও বাংলা গানের বাজারে একদমই বিরল। আর পুরো ব্যপারটাই শক্ত ভিত্তি পেয়েছে মালিবুর কোমল সমুদ্র সৈকতে। গানের চিত্র ধারণ হয়েছে সেখানেই। কেবল মাইলি সাইরাসই নন, তাহসানের বদৌলতে বাংলারও এক ঝলক অধিকার হল অতলান্তের পাড়ে।

লম্বা সময় পর পর গান নিয়ে পর্দায় আসলেন তাহসান। এসেই জানিয়ে দিলেন ফুরোননি এতটুকুও। বাংলাদেশি ডার্ক চকোলেটের এই ভিডিও ‘হট চকোলেট’-এর মত উত্তাপ ছড়িয়েছে ইউটিউবে। তার সঙ্গে ব্রি’র ল্যাটিন সৌন্দর্য মিলে যে দৃশ্য রচিত হয়েছে তাতে দর্শক হারিয়ে যাবেন অনায়াসেই। একই লুপে বেজে যাবে গানটি। কিছুক্ষণ পরপর কানে আসবে ‘চলো হারাই’, ‘চলো হারাই’…

পৃথিবীর দুপ্রান্ত জুড়ে দেওয়া গানের কথা লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন শাওন গানওয়ালা এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন এপিরাস। তারাভরা এ প্রযোজনা দেখছে অনাবিল সাফল্য। তা না হয়ে আর যায় কোথায়। লস অ্যান্জেলসের ঝকঝকে মালিবু বিচে স্বল্প বসনা ব্রি কখনও আপন খেয়ালে নেচে যাচ্ছে কখনও কালো কনভার্টিবলে চড়ে তাহসানের সাথে আক্ষরিক অর্থেই হারিয়ে যেতে বসেছে যে।

পুরো ভিডিওটি দেখুন: