শাহরুখ খান, ভারতের জনপ্রিয়তম এই অভিনেতা জীবনের প্রথম টেড কনফারেন্সে গিয়ে কার্যত মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে নিজের অভিনয় জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন উপস্থিত দর্শকদের সাথে। এমনকি টেড-এর কনফারেন্সের জায়ান্ট স্ক্রিনে শাহরুখকে দেখার জন্যে দর্শকদের মধ্যে কার্যত ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
বলেছেন অসাধারণ সব কথা। করেছেন বক্সঅফিসের সাফল্য ও সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগেও প্রাসঙ্গিক হয়ে টিকে থাকার গল্পও।
১. ভারতীয় চলচ্চিত্রের দর্শকদের বিবেচনায় এখনও তিনিই ‘বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রেমিক’।
২. ‘চল্লিশ বছর বয়সে আমি ছিলাম উদ্ধত। ৫০-এর বেশি সিনেমা করা শেষ, ২০০-এর উপর গান, মালয়েশিয়া-ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় সম্মান এবং তারপরে এলো ইন্টারনেট।আমার করা প্রতিটি কাজ,উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ নিয়ে শুরু হল বিতর্ক। আমি বুঝতে পারলাম যে,আমার মতোই বিশ্বও একরকমের মিডলাইফ ক্রাইসিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আসলেই অনেক বেশি ফ্ল্যাশের ঝলকানির মধ্যে থাকছি।’
৩. ‘বর্তমান প্রজন্ম অসম্ভব সাহসী, অসামান্য মেধাবী, দারুণ আশাবাদী এবং একই সাথে এদেরকে বোঝা প্রায় অসম্ভব।’
৪. ‘নিজের শক্তিকে ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করতে পারেন, আবার লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও ব্যবহার করতে পারেন।’
৫. ‘নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন হওয়া উচিত আসলে বুড়ো হতে চলা সিনেমার অভিনেতাদের মতো হতে চাওয়ার,যাদের বিশ্বাস পাগলের মতো এই পৃথিবী কেবল তাকেই ভালোবাসে’
‘টেড টক’ প্রথম শুরু হয় ১৯৮৪ সালে। এটি মূলত এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বক্তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তৃতা দেন।
ভারতের টিভি চ্যানেল স্টার ইন্ডিয়া সম্প্রতি ‘টেড টক ইন্ডিয়া: নয়ি সোচ’ নামের একটি অনুষ্ঠান প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে কিউরেটর হিসেবে ক্রিস অ্যান্ডারসনের পরিবর্তে থাকবেন শাহরুখ খান।টেড টক শোয়ের দারুণ ভক্ত শাহরুখ নিজেও অনুষ্ঠানটি নিয়ে ভীষণ আশাবাদী।এদিকে,টেড কিউরেটর ক্রিস অ্যান্ডারসন দাবি করেছেন, টেড টকস ইন্ডিয়া হতে চলেছে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের অন্যতম উচ্চাভিলাষী প্রোজেক্ট।