নিঃস্বার্থ,সবাইকে ভালোবাসেন,অবিন্তাকে এমন ভাবেই মনে রেখেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন ঢাকার মেয়ে অবিন্তা।
ছোটবেলা থেকেই ছিলেন অসম্ভব চাপা স্বভাবের।
মায়ের খুব আদরের,খালা-ফুপু-নানু-দাদু সব্বার বেস্ট ফ্রেন্ড।
অসম্ভব ভালোবাসতেন ঢাকাকে, এই জ্যাম, এই ধুলো ছিল তাঁর একান্ত প্রিয়, ঢাকাই ছিল তার ঠিকানা।
পেইন্টিং ছিল খুব পছন্দের। ছবি চিনতেন, বাছতেও পারতেন।
দারুন খেলতেন বাস্কেটবল। ছিলেন স্কুল টিমের ক্যাপ্টেন। কলম্বোতে এক ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠে নামতে না পারলেও মাকে নিয়ে হুইল চেয়ারে চড়ে চলে গিয়েছিলেন কোর্টে, টিমমেটদের উৎসাহ জোগাতে।
মেধাবী ছাত্রী অবিন্তা চাইতেন মেয়েদের জন্য একটা স্কুল করতে। অবিন্তা স্বপ্ন দেখতেন, একদিন মানুষের জন্য অনেক কিছু করার।চাইতেন শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য একটা আশ্রয় গড়ে তুলতে।
ঘুম না এলে মায়ের সাথে গাইতেন ‘আকাশ এতো মেঘলা‘।
মাকে বলে গিয়েছিলেন রাত ১০টায় ফিরবেন।
মা বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলেন, অবিন্তার অপেক্ষায়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন অবিন্তা কবির।
২০১৭ সালের ৪ মার্চ অবিন্তা কবিরের পরিবারের সদস্যরা অবিন্তার স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশন’। যারা কাজ করবে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য।
সৌজন্যেঃ Facebook/AbintaKabirFoundation