যে ৫ কারণে মন কেড়েছে রবি’র বিজ্ঞাপন

জাত-পাত ভুলে কেবলমাত্র একটা বিষয়ই ইদানিং আমরা, বাংলাদেশিরা এক কাতারে। সেটা হচ্ছে ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের জয়। হারলে অবশ্য “অমুক কালা পারে না” আর “হারি-জিতি বাংলাদেশ” নামক দু’টো সুস্পষ্ট বিভাজন তৈরি হতেও সময় লাগে না।
সুতরাং ক্রিকেট এখন দেশের মার্কেটের সবচেয়ে বড় সেলিং থিং। সেই সাথে টাইগাররাও ক্রমাগত ভালো পারফর্ম করে চলেছে। তাই এখন বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ চলার সময়ে টিআরপি যতো উপরে ওঠে, তার ধারেকাছেও থাকে না অন্য অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ রেটিং। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই তাই দেশের সবচে’ বড় তারকা। তাদেরকে নিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি হলে সেটা মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে চলে আসবে- সেটা স্বাভাবিকও বটে। টেলিকম কোম্পানি রবি’র সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপনটির ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। এক-দু’জন তো নয়, এতে যে অংশ নিয়েছে পুরো দল। বিজ্ঞাপনটির ছোটো ছোটো কয়েকটা দৃশ্যে তৈরি হয়েছে মন ভালো করা দারুন কিছু মুহূর্ত। সব মিলে, এতে রয়েছে ভালো লাগার বেশ ক’টা কারণ। সেগুলোকেই খতিয়ে দেখা যাক এক ঝলকে।

ও’ ক্যাপ্টেন, মাই ক্যাপ্টেন …

তামিমের হাতে ধরা ফোনের লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে ক্যাপ্টেন ম্যাশ থাম্বস আপ দেখাচ্ছেন রুবেলের বোলিং পারফরমেন্সকে। পুরো দলটার প্রতীকি ছবিই তো। এমন করেই উৎসাহ আর স্নেহমিশ্রিত নজরদারিতে মাশরাফি এক করে রেখেছেন টিম বাংলাদেশকে।


বয় নেক্সট ডোর

অনলাইন গেমিং নিয়ে তামিম-সাব্বির-রুবেল-মিরাজের খুনসুটি কিংবা ঘুমে কাদা সৌম্যর সাথে তাসকিনের সেলফি হোয়াটস অ্যাপে সবার সাথে শেয়ারিং, এসব দেখে তারকার চেয়ে ওদের পাশের বাসার ছেলে বলেই মনে হয় বেশি। অমন তো আমরাও হরহামেশা করি, তাই না? ওহ্, সদ্য কৈশোর পেরোনো মিরাজের চেহারাটা খেয়াল করতে ভুলবেন না।


চাচা’র হাসি

টিম বাংলাদেশের সব্বাইকে আগলে রাখতে সাপোর্টিং স্টাফদের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাদেরই একজন ক্লিনিং স্টাফের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক হয় দলের সবাই। রিয়াদের হাত ধরে ফ্যান-ফলোয়ারদের রিঅ্যাকশনের বন্যায় ফেসবুক লাইভে চলতে থাকে উদযাপন। কিউটেস্ট পার্ট বুঝি এটাই।

 

নন-সেলফিশ সেলফিস

ক্রিকেটাররা সেলফি তোলায় কতোটা দক্ষ তা তাদের ভ্যারিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিত দেখতে পাই আমরা। এতেও একাধিক সেলফিতে বাহুর জোর দেখিয়েছেন তাসকিন, রিয়াদ ও সাব্বির। আর সেগুলোর কোনোটাই কিন্তু শুধু নিজেকে দেখানো ‘সেলফিশ’ সেলফি নয়।

 

বেহাল মুশি

টকটাইম ফুরিয়ে যাওয়ায় জনে জনে একটু অনুগ্রহ কামনা করছেন মুশি। কিন্তু কীসের কী। একেকজন তো যার যার ফোনে মহাব্যস্ত। পরে সম্ভবত অন্য কোনো শর্টকাট উপায়ে টকটাইম ম্যানেজ করে টেস্ট টিমের ক্যাপ্টেন ফোনকল করতে সক্ষম হন। তবে তার অ্যামেচারিশ বেহাল লুকটা ছিলো দেখার মতো!

পুরো বিজ্ঞাপনটি দেখুন এখানেঃ